রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মো: মনির আকন, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)।।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গ্রামীন গুরুত্বপূর্ন গ্রাম পাঠাকাটা। এখানে ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এখানে প্রায় ৯কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। যার মধ্যে ১কিলোমিটার রাস্তা পাকা ও ৪ কিলোমিটার রাস্তা ইট সলিং তাও চলাচলের অনুপযোগী বাকী রাস্তা মাটির। বৃষ্টির সময় রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ গ্রামে প্রায় ৭ হাজার মানুষ বাস করে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় আকন বাড়ির সামনে দিয়ে কয়েক কিলোমিটার রাস্তায় বৃষ্টির সময় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্কুল কলেজের ছাএ ছাএীরা স্কুলে যেতে পারছে না। ধলাই হাওলাদার বড়ির সামনে দিয়ে মাটির রাস্তা থাকায় বৃষ্টির সময় কমিউনিটি ক্লিনিকে নৌকায় যেতে দেখা গেছ । বিশেষ করে প্রসূতী রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়াও এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারজাত করতে কৃষকদের কষ্টের সীমা থাকে না।
বাসিন্দারা বলেন , রাস্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কষ্ট ভোগ করছি বর্ষার দিনে ছেলেমেয়েদের নৌকায় করে স্কুলে পৌঁেছ দিতে হয় । বর্ষা মৌসুম এলেই এই রাস্তায় রিক্সা ভ্যান ও মটর সাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে । পশ্চিম পাঠাকাটা গ্রমের বাসিন্দা ও সমাজসেবক মো: সাইফুল ইসলাম বলেন দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবহেলিত জনপ্রতিনিধি এমপি মহোদয় বারবার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি।
পাঠাকাটা নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মুজিবুর রহমান(ফারুকী)বলেন দীর্ঘ যাবত উত্তর অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত বারবার সংসদ সদস্য সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও কার্যত রাস্তাটির অদ্যবদি কোন উন্নয়ন হয়নি। এখন এ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে কষ্ট হচ্ছে। জনস্বার্থে যাতে রাস্তাটি দ্রুত বাস্তবায়ন হয় তার জন্য জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো: জসীম জানান, রাস্তাটি খুব শীঘ্রই টেন্ডারে যাবে ।